খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবির বিপক্ষে মৌন মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ বুধবার বেলা পৌনে একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ভাস্কর্য দুর্বার বাংলার পাদদেশে গিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে শিক্ষক-কমকর্তারা জানান, শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি দিয়ে হয়রানি করছেন। এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। একই সঙ্গে শিক্ষক সমিতি থেকে জানানো হয়, প্রকৃত দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকেরা ক্লাসে ফিরবেন না।
সমাবেশে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের ছয় দফা মেনে নিয়েছে প্রশাসন। তার পরও কেন তাঁরা এক দফায় গেলেন? সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ডিসিপ্লিনারি কমিটি আছে, তারা এটি তদন্ত করবে। তাদের আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ থাকবে। সেখানে প্রকৃত দোষীদের শুধু শাস্তি হবে। এটা নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার কোনো কিছু নেই। শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তোমাদের প্রতি আহ্বান জানাব, তোমরা সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত মেনে নাও। আজকের ভেতরে তোমরা হলগুলো খালি করে দাও।’
সাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, শিক্ষক সমিতির একটি দাবি ছিল, প্রকৃত দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ক্লাসে ফিরবেন না। শিক্ষক এবং ছাত্র কখনো পরস্পরের প্রতিপক্ষ হতে পারে না। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী শিক্ষার্থী তাদের নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য শিক্ষকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। কিছু দুষ্কৃতকারী কুয়েটের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘ভিসি স্যার কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি এবং দুষ্কৃতকারীদের প্রশ্রয় দেন না। এই প্রশ্রয় না দেওয়ার কারণেই ছাত্ররা এক দফা দাবি করছে। আমরা শিক্ষক সমিতি এই এক দফার সম্পূর্ণ বিপক্ষে। আমাদের এক দফা হচ্ছে, যারা দুষ্কৃতকারী, যারা বিভিন্ন ধরনের অকারেন্স করেছে, তাদের শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসিব সরদার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক খন্দকার মাহবুব হাসান, অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেন, বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহজাহান আলী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এম এম এ হাসেম প্রমুখ।